সংখ্যা হলো পরিমাপের একটি বিমূর্ত ধারণা। সংখ্যা প্রকাশের প্রতীকগুলিকে বলা হয় অঙ্ক।
সংখ্যা ধারণার উৎপত্তি
প্রস্তর যুগ
বর্তমান গণিতের জন্ম হয়েছে গণনা থেকে। গণনার ধারণা থেকেই প্রথম সংখ্যা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছিল যদিও সংখ্যার জন্ম হয়েছে অনেক সময়ের ব্যবধানে। প্রাচীন প্রস্তর যুগে মানুষ যখন গুহায় বসবাস করতো তখনও এক-দুই পর্যন্ত গণনা চালু ছিল বলে ধারণা করা হয়।
তখন পারিবারিক বা সামাজিক জীবন ভালো করে শুরু না হলেও পদার্থের রূপ সম্বন্ধে তারা ওয়াকিবহাল ছিল। নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ খাদ্য আহরণ, উৎপাদন এবং সঞ্চয় করতে শুরু করে। মৃৎ, কাষ্ঠ এবং বয়ন শিল্পের প্রসার ঘটে যার অনেক নমুনা বর্তমানে আবিষ্কৃত হয়েছে।
অধিকাংশের মতে এ সময়েই ভাষার বিকাশ ঘটে। তবে ভাষা যতটা বিকশিত হয়েছিল তার তুলনায় সংখ্যার ধারণা ছিল বেশ অস্পষ্ট। সংখ্যাগুলো সর্বদাই বিভিন্ন বস্তুর সাথে সংশ্লিষ্ট থাকতো। যেমন, পশুটি, দুটি হাত, একজোড়া ফল, এক হাঁড়ি মাছ, অনেক গাছ, সাতটি তারা ইত্যাদি।
এমনকি অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা এবং আফ্রিকার অনেক গোত্র আজ থেকে মাত্র দুশো বছর আগেও এ অবস্থায় ছিল।
বিশুদ্ধ সংখ্যার ধারণা
বিশুদ্ধ সংখ্যা বলতে বস্তু নিরপেক্ষ সংখ্যার ধারণাকে বুঝায়। প্রস্তর যুগ পেরিয়ে আরও অনেক পরে এ ধারণার বিকাশ ঘটেছে। এক বা দুইয়ের গণ্ডী পেরিয়ে আরও বড় সংখ্যা নির্দেশ করতে প্রথম কেবল যোগ ব্যবহার করা হতো। পরে ধীরে ধীরে যোগ এবং গুণনের সাহায্যে ছোট থেকে বড় সংখ্যার দিকে যাওয়া শুরু হয়। দুটি অস্ট্রেলীয় গোত্রের উদাহরণ এখানে উল্লেখ্য:
মারে রিভার গোত্র: এনিয়া (এক), পেচেভাল (দুই), পেচেভাল-এনিয়া (তিন), পেচেভাল-পেচেভাল (চার)।
কামিলা রোই গোত্র: মাল (এক), বুলান (দুই), গুলিবা (তিন), বুলান-বুলান (চার), বুলান-গুলিবা (পাঁচ), গুলিবা-গুলিবা (ছয়)।
সংখ্যার ধারণা স্পষ্ট হতে শুরু করে বাণিজ্যের প্রসারের সাথে সাথে। কারণ এ সময় হিসাব সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন পড়ে এবং এক গোত্রের সাথে আরেক গোত্রের তথ্যের আদান প্রদান জরুরী হয়ে উঠে।
একটি স্পষ্ট সংখ্যা ধারণার উদাহরণ হিসেবে বাংলা সংখ্যা পদ্ধতির কথা বলা যেতে পারে। দশমিক প্রণালী ব্যবহার করে এখানে সংখ্যা গণনা করা হয়ে থাকে। এক থেকে দশ পর্যন্ত হল মূল সংখ্যা।
সংখ্যাকে বিভিন্ন ব্যবস্থায় প্রকাশ করা সম্ভব:
দশমিক ব্যবস্থা
এই ব্যবস্থায় সংখ্যার একেকটি অঙ্ক দশের এককটি গুণিতক।
অনেক একককে দশের বিভিন্ন গুণিতকে প্রকাশ করার জন্য বিশেষ উপসর্গ আছে:
কিলো (kilo)
মেগা (Mega)
গিগা (Giga)
টেরা (Tera)
পেটা (Peta)
এক্সা (Exa)
জেত্তা (Zetta)
ইয়ত্তা (Yotta)
ডেসি (Deci)
সেন্টি (Centi)
মিলি (Milli)
মাইক্রো (Micro)
ন্যানো (Nano)
পিকো (Pico)
ফেম্টো (Femto)
অ্যাটো (Eto)
জেপ্টো (Zepto)
নিজেকে যাচাই করুন।
১)প্রাচীন ব্যাবিলনের মানুষের বড় সংখ্যা প্রকাশের জন্য কত ভিত্তিক সংখ্যা ব্যবহার করতেন?
ক)০২ ভিত্তিক
খ)০৪ ভিত্তিক
গ)৩০ ভিত্তিক
ঘ)৬০ ভিত্তিক
২)বাইনারি ডিজিটকে সংক্ষেপে বলে-
ক)বাইট
খ)বিট
গ)কিলোবাইট
ঘ)ডিজিট
৩)সর্বপ্রথম ইনফিনিটি বা অসীম (∞ ) এর আবিস্কার কে প্রচলন করেন?
ক)পিথাগোরাস
খ)নিউটন
গ)এরিস্টটল
ঘ)গ্যালিলিও
৪)বর্তমান গণিতের জন্ম হয়েছে-
ক)অংক থেকে
খ)গণনা থেকে
গ)গণিত থেকে
ঘ)সংখ্যা থেকে
৫)কোন সংখ্যা পদ্ধতি শুধু মানের উপর নির্ভর করে না এবং তা অবস্থানের উপর নির্ভর করে?
ক)অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
খ)বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
গ)পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি
ঘ)নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি
৬)প্রায় ৫০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এ্যারাবয়ানরা ভারতীয়দের কাছ থেকে কোন পদ্ধতি আয়ত্ত করেন?
ক)বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
খ)অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি
গ)পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি
ঘ)নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি
৭)আরবরা গণনা পদ্ধতিতে আয়ত্ব করেছিলেন কাদের কাছ থেকে?
ক)চীনদের কাছ থেকে
খ)গ্রিকদের কাছ থেকে
গ)ভারতীয়দের কাছ থেকে
ঘ)মিসরীয়দের কাছ থেকে
৮). মানুষ কম্পিউটারে কোন সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহারে ইনপুট প্রদান করে?
ক)দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি
খ)বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
গ)অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি
ঘ)হেক্সাডেসিমেল
৯) কম্পিউটার যে সংখ্যা ব্যবহার করে কাজ সম্পূর্ণ করে সে সংখ্যা পদ্ধতি কোনটি-
ক)দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি
খ)বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি
গ)অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি
ঘ)হেক্সাডেসিমেল
১০)কম্পিউটার গণিতে কয়টি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?
ক)2টি
খ)3টি
গ)4টি
ঘ)5টি
আরো পড়ুন: বিসিএস প্রিলি গণিতের পূর্ণাঙ্গ দিক নির্দেশনা।
ভালো লাগলে পোস্টি টি ফেসবুকে শেয়ার করে রাখুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওয়েবসাইটের কোনো কনটেন্ট অন্য কোন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। ইতিমধ্যে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। কেউ এই ওয়েবসাইটের কনটেন্ট কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।