১। কোন বিষয় বাদ দেওয়া যাবে না অর্থাৎ সিলেবাসে যে ১০ টা বিষয় আছে ওই দশটা বিষয়ের সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখতে হবে। অনেক আছে গনিতে গুরুত্ব দেয় না অাবার অনেকেই সুশাসনে বা ভুগোলে বা একের অধিক বিষয়ে বাদ দিয়ে প্রস্তুতি নেয়। এরকম যারা করে তাদের অন্য বিষয়ের উপর অধিক চাপ পড়ে ফলে সহজে ভাল করতে পারে না। তাই কোন বিষয় বাদ দেওয়া যাবে না।
২। বিগতসালের ১০ থেকে ৪০ পর্যন্ত প্রিলির প্রত্যেকটা প্রশ্ন ভালোভবে পড়তে হবে। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও মানসিক দক্ষতার প্রত্যেকটা প্রশ্ন পড়তে হবেই ব্যাখা সহ। সাথে মানসিক দক্ষতার জন্য রিটেনের ২৭ থেকে ৩৮ পর্যন্ত মানসিক দক্ষতার প্রশ্নগুলো পড়তে হবে। ইনশাআল্লাহ সব কমন পাবেন।
৩। বেশি বা অপ্রয়োজনীয় টপিকগুলো বাদ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো বার বার পড়তে হবে।
৪। নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে অর্থাৎ প্রতিদিন নিয়মিত নিয়ম করে একটা নিদিষ্ট সময় পড়বেন যারা চাকুরী করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে হয় তারা।
৫। আপনি কয়েকটি বিষয়ে স্টং জোন তৈরি করেন অর্থাৎ মনে করেন আপনি ইংরেজিতে দক্ষ তাহলে ইংরেজি এমনভাবে পড়েন যেন প্রশ্ন যে ধরণের হউক না কেন আপনার ৩০+ থাকে। আপনি কম্পিউটারে দক্ষ হলে এমনভাবে পড়েন যেন ১২+ থাকে৷ অর্থাৎ নিজের শক্তির জায়গাগুলো আরো বেশি শক্তিশালী করুন৷ অার দুর্বল জায়গাগুলোকে একদম বাদ না দিয়ে মাঝামাঝি ধরনের একটা প্রিপারেশন নেন তাহলেই ভাল করবেন।
৬। যে যে টপিকগুলো পড়লেও মনে থাকে না এবং পরীক্ষায়ও তেমন আসে না ওইগুলো সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে পড়ুন।
৭। এখন একই সাথে রিটেনের প্রস্তুতি নিতে যাবেন না। এখন শুধু প্রিলির জন্য পড়ুন কারণ প্রিলি পাস করতে না পারলে রিটেন পরীক্ষা দিতে পারবেন না। তাছাড়া প্রিলির পর রিটেনের জন্য ৫/৬ মাস সময় পাবেন যা রিটেনর জন্য যথেষ্ট।
৮। সর্বোপরি মানসিক ভাবে শক্ত থাকুন। যতই সমালোচনার ঝড় আসুক আপনি আপনার পড়া চালিয়ে যান। দেখবেন যারা আপনার সমালোচনা করছে চাকরি পেলে ঠিক তারাই আপনার প্রশংসা করবে।
এস.এম. আলাউদ্দিন মাহমুদ
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট